Home কুমার ভারতবর্ষ

ভারতবর্ষ

258
0
ইদানিং দুটো ঘটনা ঘটেছে যা ভারতবর্ষকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। মহুয়া মৈত্র যখন সাংবাদিকদের দুপয়সার সাংবাদিক বলেছিল তখন অনেকেই তার প্রতিবাদ করেছিল। অথচ পরপর দুটো ঘটনা প্রমান করে দিয়েছে ভারতবর্ষের সাংবাদিকরা সত্যিই দুপয়সার সাংবাদিক আর তারা দেশটাকে এক পয়সার ‘দেশ’ বানাতে বিন্দুমাত্রও দ্বিধা করে না।
ঘটনা ১. ক্রিকেটে পাকিস্তানের জয় এবং ভারতের হার। কাগজগুলো যে পরিমান পোস্ট দিয়েছে এবং যেভাবে দিয়েছে তা লজ্জাজনক তো বটেই তদুপরি মানসিক স্বাস্থ নিয়ে লোকেদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। খবরের পর খবর দিয়েছে ভারতের প্লেয়াররা কতটা খারাপ খেলেছে, কে কোন রেঙ্ক হারিয়েছে, কে কতটা কি মিস করেছে, ইত্যাদি। অর্থাৎ ভারত, ভারত, এবং ভারত। প্রতিটি ঘটনারই দুটো দিক থাকে। খেলাও ঘটনা বৈকি। ভারতের দু-পয়সার সাংবাদিকরা এটা মানতে নারাজ অথবা অবচেতন মনে দেখতে পাচ্ছে না যে পাকিস্তান ভালো খেলেছে বা ভালো খেলতে পারে। এটার মানে হলো পাকিস্তান কনস্ট্যান্ট (C ); ভারতই একমাত্র ভালো বা খারাপ খেলতে পারে অর্থাৎ ভ্যারিয়েবল (X ). এই ধারণাটা কোত্থেকে আসে জানেন? মেইনলি আসে সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকে। Somehow আমাদের মনে গেথে গেছে আমাদের প্লেয়াররা জগৎশ্রেষ্ঠ। তাদের চাইতে ভালো খেলোয়াড় হতেই পারে না। আরও একটা কারণে এটা আসে। সেটা হলো ঘৃণা। পাকিস্তানের প্রতি আমাদের ঘৃণা থেকে। ভালোবাসা নিয়ে একটা সুন্দর কথা আছে – ভালোবাসি, শুধু ভালোবাসি বলেই। কিন্তু এই কথাটাই পাল্টে নিয়ে ঘৃণার অবস্থান বোঝানো যায় না। এটা বলা যায় না – ঘৃণা করি শুধু ঘৃণা করি বলেই। তাহলে জীবনের মাহাত্ম বলে আর কিছুই রইলো না। খেলা তো খেলা রইলই না তদুপরি আবার বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কিছু মানুষের সাথে হীন হবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে গেলাম। কিছুক্ষন আগে একটি পোস্ট দেখলাম পয়েন্ট টেবিলে ইন্ডিয়া নাকি নামিবিয়ারও নীচে? এটা কি মানা যায়। নামিবিয়া েকে তো আফ্রিকার ছোট একটা দেশ। তদুপরি কালোদের দেশ। এই সমস্ত ‘দুধের শিশুদেরও’ (কথাটা আমার নয়) নীচে? তা কি কখনো হতে পারে? ইজরায়েল বা ফ্রান্স থেকে যখন অস্ত্র কেনা হয় তখন সেই একই সুরে বলা হয় কি ভারত যে তাদের কত নীচে এবং কোন টেবিলে?
দুপয়সার সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন করা যাবে কি – জাপান জানি কয়টা সোনা পেয়েছে অলিম্পিকে? মেডেলের পুরো চার্টটা তাদের সামনে তুলে ধরে কিছু বলা যেতেই পারে কিন্তু তাদের সেই ইন্টেলেক্চুয়াল ক্যাপাসিটি আছে কি বোঝার?
ঘটনা ২. শাহরুখ খানের ছেলের ‘ড্রাগ’ নেওয়াকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত পোস্ট বা খবর বেরিয়েছে সাংবাদিকরা আবারো প্রমান করেছে তারা দুপয়সারই বটে। জামিন পাবার পর যেভাবে গাড়ীর পেছনে কুকুরের মতো ছুটেছে রা দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। ও কি সম্ভব? আরো অনেক কিছু বলার আছে। পরে না হয় আবার। …..
Previous articleএখন যখের ধন
Next articleসোনার পৈতা